বিশেষ প্রতিনিধি, ডেইলি ভোরের সকাল।।
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের শান্তিপুর্ণ কর্মসুচিতে প্রকল্পের উপবৃত্তি কর্মকর্তা থেকে রাজস্বখাতে পদায়নকৃত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা কর্তৃক বিনা উস্কানিতে ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে নড়াইলের সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পুর্ণদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষকবৃন্দ নড়াইল জেলা শাখার আয়োজনে সকাল থেকে নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নড়াইল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ক্লাস বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন। নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধন চলাকালে দিক-নির্দেশনামুলক বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী, নড়াইল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন, নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এস. এম. এ জলিল প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ফিরোজ কিবরিয়া, আক্তারুল হক, শেখ হাফিজুর রহমান, মুন্সি সোহেল রানা, তৌফিক হাসান, নুরে আলম জাহিদ সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং নড়াইল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শক্তিপদ বিশ্বাস, মঞ্জুর হাসান, জাকির হোসেন, রাকিবুল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে এসে আমাদের পদগুলো দখল করে নিয়েছে।
নিয়োগবিধি অনুযায়ী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের থেকে ৫০% উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদায়ন করার কথা থাকলেও নানা তালবাহানা করে এখন পযর্ন্ত পদায়ন করা হয়নি। উল্টো প্রকল্প থেকে আসা উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা বিধিবহির্ভূতভাবে এখন জেলা শিক্ষা অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তারা জেলা শিক্ষা অফিস দখল করতে চায়। এটা যেন মামার বাড়ির আবদার।
বক্তারা, সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের নানা বঞ্চনার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে আসা উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। এদিকে পুর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে। ক্লাস না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।